ঢাকা ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নওগাঁয় ৬ কিলোমিটার বেহাল সড়ক স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করলেন বিএনপি নেতা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫ ৮৪ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার বেনীপুর থেকে বেগুনবাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পাকা সংযোগ সড়কটি এখন যেন দুর্ভোগের প্রতিক। খানাখন্দে ভরা এই সড়কে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছেন হাজারো মানুষ। ১০ গ্রামের প্রায় ৭ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র প্রধান পথ এটি। এই রাস্তা দিয়েই পার্শ্ববর্তী উপজেলা পোরশা ও সাপাহারে সহজে যাওয়া যায়। দীর্ঘদিন ধরে ওই রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় পুরো রাস্তার অধিকাংশ জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানাখন্দ আর গর্তের। উঠে গেছে পিচঢালা অংশের মাটিও।

ফলে প্রতিদিনের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যানবাহন চলাচলও হয়ে পড়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ও সময়সাপেক্ষ। দীর্ঘদিনের এই দুরবস্থায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। বাধ্য হয়ে অনেকেই বিকল্প পথ ব্যবহার করছেন। তবে তাতে সময় যেমন বেশি লাগছে, তেমনি খরচও বাড়ছে কয়েকগুণ। এলাকাবাসীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বার বার যোগাযোগ করেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আর এই দুর্ভোগের দৃশ্য দেখে নিজ উদ্যোগে রাস্তা সংস্কারের কাজে নেমে পড়েছেন নিয়ামতপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম। তিনি রাস্তার খানাখন্দগুলো ইট দিয়ে ভরাট করে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করে তুলেছেন। আর এতেই এলাকাবাসীর মাঝে বেশ প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।

ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী ভ্যানচালক আব্দুস সাত্তার বলেন, এই রাস্তায় মানুষ যেতে চায় না। অনেক সময় লাগে। ভ্যানেরও অনেক ক্ষতি হয়। বল বিয়ারিং ভেঙ্গে যায়। যাত্রীরা বিরক্ত হয়। তারপরেও এই পথে যাতায়াত করতে হয় জীবনের ঝ৭ুকি নিয়ে। আর আমাদের এই কষ্টের কথা জানতে পেরে নিজ উদ্যোগে বিএনপির এই নেতা নুরুল ইসলাম রাস্তাটি ইট দিয়ে সংস্কার করে দিচ্ছেন। আমরা সত্যিই তার কাছে কৃতজ্ঞ।

পথচারী রবিউল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। যেন আমাদের কষ্টের শেষ নেই। নুরুল ইসলামের মতো এই নেতা আমাদের ১০ গ্রামের মানুষের কষ্টের কথা বিবেচনা করে চলাচলের দুর্ভোগ লাঘবে ইট ও রাবিশ বিছিয়ে ব্যক্তি উদ্যোগে এই রাস্তা সংস্কার করে দিলেন। সত্যিই তিনি একজন ভালো মানুষ। তা না হলে এতো বড় মহৎ উদ্যোগ তিনি নিয়েছেন। এমন সময়ে নুরুল ইসলামের এই মানবিক উদ্যোগ সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন আশা জাগিয়েছে।

নিজ উদ্যোগে রাস্তা সংস্কারের কারণ জানতে চাইলে নুরুল ইসলাম বলেন, আমি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফা পৌঁছে দিতে কয়েকদিন আগে এই এলাকায় এসেছিলাম। তখন আমি এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মনে হয়েছিল কিভাবে এলাকার মানুষেরা চলাছর করে। তাদের তো কষ্টের শেস নেই। আর এই রাস্তা দিয়ে হাজারো মানুষের যাতায়াত করে থাকে প্রতিদিন। তাদের কষ্ট দেখে মনে হয়েছে আমার কিছু একটা করা দরকার। তাই নিজের উদ্যোগে ইট দিয়ে খানাখন্দগুলো ভরাট করছি। বিএনপি সব সময় জনগণের পাশে ছিল আর থাকবে। আর  তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী আমিও জনগণের সেবায় এই উদ্যোগ নিয়েছি।

তিনি আরো বলেন,  এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার নারী-পুরুষ শিশু স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী চলাচল করে। রাস্তাটি সংস্কারের ফলে মানুষের চলাচলে কিছুটা হলেও স্বস্তি আসবে। এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সর্বসাধারণের জন্য আমার নিজ উদ্যোগে এই ছয় কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করেছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নওগাঁয় ৬ কিলোমিটার বেহাল সড়ক স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করলেন বিএনপি নেতা

আপডেট সময় : ১১:৫৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার বেনীপুর থেকে বেগুনবাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পাকা সংযোগ সড়কটি এখন যেন দুর্ভোগের প্রতিক। খানাখন্দে ভরা এই সড়কে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছেন হাজারো মানুষ। ১০ গ্রামের প্রায় ৭ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র প্রধান পথ এটি। এই রাস্তা দিয়েই পার্শ্ববর্তী উপজেলা পোরশা ও সাপাহারে সহজে যাওয়া যায়। দীর্ঘদিন ধরে ওই রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় পুরো রাস্তার অধিকাংশ জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানাখন্দ আর গর্তের। উঠে গেছে পিচঢালা অংশের মাটিও।

ফলে প্রতিদিনের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যানবাহন চলাচলও হয়ে পড়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ও সময়সাপেক্ষ। দীর্ঘদিনের এই দুরবস্থায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। বাধ্য হয়ে অনেকেই বিকল্প পথ ব্যবহার করছেন। তবে তাতে সময় যেমন বেশি লাগছে, তেমনি খরচও বাড়ছে কয়েকগুণ। এলাকাবাসীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বার বার যোগাযোগ করেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আর এই দুর্ভোগের দৃশ্য দেখে নিজ উদ্যোগে রাস্তা সংস্কারের কাজে নেমে পড়েছেন নিয়ামতপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম। তিনি রাস্তার খানাখন্দগুলো ইট দিয়ে ভরাট করে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করে তুলেছেন। আর এতেই এলাকাবাসীর মাঝে বেশ প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।

ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী ভ্যানচালক আব্দুস সাত্তার বলেন, এই রাস্তায় মানুষ যেতে চায় না। অনেক সময় লাগে। ভ্যানেরও অনেক ক্ষতি হয়। বল বিয়ারিং ভেঙ্গে যায়। যাত্রীরা বিরক্ত হয়। তারপরেও এই পথে যাতায়াত করতে হয় জীবনের ঝ৭ুকি নিয়ে। আর আমাদের এই কষ্টের কথা জানতে পেরে নিজ উদ্যোগে বিএনপির এই নেতা নুরুল ইসলাম রাস্তাটি ইট দিয়ে সংস্কার করে দিচ্ছেন। আমরা সত্যিই তার কাছে কৃতজ্ঞ।

পথচারী রবিউল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। যেন আমাদের কষ্টের শেষ নেই। নুরুল ইসলামের মতো এই নেতা আমাদের ১০ গ্রামের মানুষের কষ্টের কথা বিবেচনা করে চলাচলের দুর্ভোগ লাঘবে ইট ও রাবিশ বিছিয়ে ব্যক্তি উদ্যোগে এই রাস্তা সংস্কার করে দিলেন। সত্যিই তিনি একজন ভালো মানুষ। তা না হলে এতো বড় মহৎ উদ্যোগ তিনি নিয়েছেন। এমন সময়ে নুরুল ইসলামের এই মানবিক উদ্যোগ সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন আশা জাগিয়েছে।

নিজ উদ্যোগে রাস্তা সংস্কারের কারণ জানতে চাইলে নুরুল ইসলাম বলেন, আমি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফা পৌঁছে দিতে কয়েকদিন আগে এই এলাকায় এসেছিলাম। তখন আমি এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মনে হয়েছিল কিভাবে এলাকার মানুষেরা চলাছর করে। তাদের তো কষ্টের শেস নেই। আর এই রাস্তা দিয়ে হাজারো মানুষের যাতায়াত করে থাকে প্রতিদিন। তাদের কষ্ট দেখে মনে হয়েছে আমার কিছু একটা করা দরকার। তাই নিজের উদ্যোগে ইট দিয়ে খানাখন্দগুলো ভরাট করছি। বিএনপি সব সময় জনগণের পাশে ছিল আর থাকবে। আর  তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী আমিও জনগণের সেবায় এই উদ্যোগ নিয়েছি।

তিনি আরো বলেন,  এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার নারী-পুরুষ শিশু স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী চলাচল করে। রাস্তাটি সংস্কারের ফলে মানুষের চলাচলে কিছুটা হলেও স্বস্তি আসবে। এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সর্বসাধারণের জন্য আমার নিজ উদ্যোগে এই ছয় কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করেছি।