ঢাকা ০১:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৯টি আইন সংশোধন হয়েছে: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪২:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১৭ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ থেকে শুরু করে নারী ভোটার ব্যবধান কমানো এবং নয়টি আইন সংশোধনসহ বহু কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনকে আরও সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য করতে বাকি প্রস্তুতিও এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচনী সংলাপে সিইসি এই বক্তব্য দেন। সংলাপে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদসহ ইসির শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় অংশ নেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আল মাহমুদ হাসানউজ্জামান, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মো. মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক আব্দুল ওয়াজেদ, বিজিএমইএ পরিচালক রশিদ আহমেদ হোসাইনি, কবি মোহন রায়হান, পুলিশ রিফর্ম কমিশনের মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি জারিফ রহমান, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ও টিআইবি পরিচালক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান।

সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, “ভোটার তালিকা আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সম্পন্ন করেছি। নারী ভোটার ব্যবধান কমানো হয়েছে। নয়টি আইন সংশোধন করছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার তার অনেকটাই এগিয়ে নিয়েছি।”

তিনি জানান, সংস্কার কমিশনের আলোচনায় অনেক বিষয় উঠে এসেছে। যেসব ঘাটতি রয়েছে, সংলাপের মাধ্যমে সেগুলো পূরণ করা হবে। আইটি সাপোর্ট পোস্টাল ব্যালট পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার পর এবার তা কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হবে। প্রায় ১০ লাখ নির্বাচনকর্মী দায়িত্ব পালন করলেও ভোট দেওয়ার সুযোগ পান না—এবার তাদের জন্য ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হবে। একইসঙ্গে হাজতপ্রাপ্ত ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।

সিইসি প্রতিশ্রুতি দেন, একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে কমিশন অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি বলেন, “আপনাদের মতামত আমাদের পথচলার সহায়ক হবে।”

ইসির জনসংযোগ শাখা জানায়, দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। অক্টোবর মাসে রাজনৈতিক দল, সাংবাদিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, পর্যবেক্ষক, নারীনেত্রী ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গেও সংলাপে বসবে কমিশন।

উল্লেখ্য, রোজার আগে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে ইসি। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

৯টি আইন সংশোধন হয়েছে: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

আপডেট সময় : ০৭:৪২:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ থেকে শুরু করে নারী ভোটার ব্যবধান কমানো এবং নয়টি আইন সংশোধনসহ বহু কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনকে আরও সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য করতে বাকি প্রস্তুতিও এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচনী সংলাপে সিইসি এই বক্তব্য দেন। সংলাপে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদসহ ইসির শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় অংশ নেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আল মাহমুদ হাসানউজ্জামান, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মো. মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক আব্দুল ওয়াজেদ, বিজিএমইএ পরিচালক রশিদ আহমেদ হোসাইনি, কবি মোহন রায়হান, পুলিশ রিফর্ম কমিশনের মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি জারিফ রহমান, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ও টিআইবি পরিচালক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান।

সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, “ভোটার তালিকা আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সম্পন্ন করেছি। নারী ভোটার ব্যবধান কমানো হয়েছে। নয়টি আইন সংশোধন করছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার তার অনেকটাই এগিয়ে নিয়েছি।”

তিনি জানান, সংস্কার কমিশনের আলোচনায় অনেক বিষয় উঠে এসেছে। যেসব ঘাটতি রয়েছে, সংলাপের মাধ্যমে সেগুলো পূরণ করা হবে। আইটি সাপোর্ট পোস্টাল ব্যালট পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার পর এবার তা কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হবে। প্রায় ১০ লাখ নির্বাচনকর্মী দায়িত্ব পালন করলেও ভোট দেওয়ার সুযোগ পান না—এবার তাদের জন্য ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হবে। একইসঙ্গে হাজতপ্রাপ্ত ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।

সিইসি প্রতিশ্রুতি দেন, একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে কমিশন অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি বলেন, “আপনাদের মতামত আমাদের পথচলার সহায়ক হবে।”

ইসির জনসংযোগ শাখা জানায়, দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। অক্টোবর মাসে রাজনৈতিক দল, সাংবাদিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, পর্যবেক্ষক, নারীনেত্রী ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গেও সংলাপে বসবে কমিশন।

উল্লেখ্য, রোজার আগে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে ইসি। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হতে পারে।